প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: শিশুদের জন্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষা শুরু করার আগে শিশুর অপার বিস্ময়বোধ, অসীম কৌতুহল, আনন্দবোধ ও অফুরন্ত উদ্যমের মতো সার্বজনীন মানবিক বৃত্তির সুষ্ঠু বিকাশ এবং প্রয়োজনীয় মানসিক ও দৈহিক প্রস্তুতিগ্রহণের পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন। তাই তাদের জন্য উচিত বিদ্যালয়ে প্রস্তুতিমূলক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার ব্যাবস্থা করা । অন্যান্য শিশুর সঙ্গে একত্রে এই প্রস্তুতিমূলক শিক্ষা শিশুর মধ্যে শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। কাজেই ৫+ বয়স্ক শিশুদের জন্য প্রাথমিকভাবে এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে তা ৪+ বয়স্ক শিশু পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়।

এই পর্যায়ে শিক্ষাক্রম হবে:
– শিক্ষা ও বিদ্যালয়ের প্রতি শিশুর আগ্রহ সৃষ্টিমূলক এবং সুকুমার বৃত্তির অনুশীলন।
-অন্যদের প্রতি সহনশীলতা একং পরবর্তী আনুষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য শৃঙ্খলাবোধ সম্পর্কে ধারনা দেয়া।

কৌশল:
১. অন্যান্য গ্রহনযোগ্য উপায়ের সঙ্গে ছবি, রং, নানা ধরনের সহজ আকর্ষণীয় শিক্ষা উপকরণ, মডেল, হাতের কাজের সঙ্গে ছড়া, গল্প, গান ও খেলার মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদানের ব্যাবস্থা করা হবে।
২. শিশুদের স্বাভাবিক অনুসন্ধিৎসা ও কৌতুহলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে তাদের স্বাভাবিক প্রাণশক্তি ও উচ্ছ্বাসকে ব্যবহার করে আনন্দময় পরিবেশে মমতা ও ভালোবাসার সঙ্গে শিক্ষা প্রদান করা হবে। শিশুদের সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে যেন তারা কোনভাবেই কোনরকম মানসিক অত্যাচারের শিকার না হয়।
৩. মসজিদ, মন্দির, গীর্জা ও প্যাগোডায় ধর্ম মন্ত্রনালয় কর্তৃক পরিচালিত সকল ধর্মের শিশুদের ধর্মীয়জ্ঞান, অক্ষরজ্ঞান সহ আধুনিক শিক্ষা ও নৈতিকতা শিক্ষাপ্রদানের কর্মসূচি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অংশ হিসেবে গণ্য করা হবে।

Leave a Reply